ডেস্ক রিপোর্টঃ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের সক্রিয় উপস্থিতি এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা জিজ্ঞেস করে, তুরস্ক এখানে কী করছে, তারা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝে না।”
সম্প্রতি এক সরকারি অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার দেশের পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে সাফাই দেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান যে, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের কর্মকাণ্ড কেবল সামরিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর ভিশনের অংশ।
এরদোয়ান বলেন, “তুরস্ক শুধুমাত্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে না, বরং সারা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভূমিকা রাখছে। আমাদের নীতির সমালোচকরা হয়তো আমাদের ভিশন বুঝতে পারেন না।”
সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা:
১. সিরিয়া: সিরিয়ার উত্তরে তুরস্ক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এর লক্ষ্য হলো সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শরণার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করা।
২. লিবিয়া: লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারকে সমর্থন দিয়ে তুরস্ক সেখানে সামরিক ও কৌশলগত সহায়তা প্রদান করেছে।
৩. সোমালিয়া: সোমালিয়ায় তুরস্ক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরদোয়ানের এই বক্তব্য তুরস্কের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূমিকাকে পুনরায় তুলে ধরার চেষ্টা। তুরস্কের এই সক্রিয় অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে।
এরদোয়ানের বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। সমর্থকরা এটি তুরস্কের নেতৃত্বের সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে সমালোচকরা একে আঞ্চলিক হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতি ও এরদোয়ানের ভিশন বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাব এখন দেখার বিষয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের উপস্থিতি তাদের বৃহত্তর ভিশনের অংশ। এরদোয়ানের বক্তব্য ও তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন।