ADS

journal ads
আমাদের এই ক্যাটাগরিতে আর খোন খবর নেই দয়া করে আপনি কোন জেলা ও উপজেলা থেকে খবর পড়তেছে আমাদের যোগাযোগ ফর্মে লিখুন আমরা চেষ্টা করবো আপনার আশপাসের সকল খবর কভার করতে

কুলাউড়ায় ইউপি মেম্বারের নি:শর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংবাদ সম্মেলন

  কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ।   মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে সরকারি মাটি ভরাট কাজে বাঁধা

 

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ।

 

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে সরকারি মাটি ভরাট কাজে বাঁধা ও প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি মেম্বার খাইরুল ইসলাম খসরুকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে ওই ইউপি মেম্বার বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার ও মেম্বারের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে ২৯শে এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক সৈয়দ সিদ্দিক আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাদিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড থেকে জনগনের রায়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন খাইরুল ইসলাম (খসরু মিয়া)। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও আইন শৃঙ্খলা সুন্দর রাখতে নিরলসভাবে কাজ করেন। ওয়ার্ডে সকল কাজ শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হয়ে আসছে। এতে ইর্ষান্বিত হয়ে কিছু স্থানীয় কুচক্রী মহল তার সাফল্যে দেখে তাকে হেয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

সম্প্রতি সরকারিভাবে কাদিপুর ইউনিয়নের আমতৈল থেকে বিলেরপার রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য তিনি মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়। উক্ত সড়কের পাশে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল বারী মিয়ার কিছু জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় রাস্তা প্রসস্থ করার জন্য মাটি ফেললে ১৫ এপ্রিল তীরবর্তী বাড়ীর কাতার প্রবাসী রুবেজ আহমেদ রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রী দোলা খানম মাটি ভরাটের কাজে ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে বাঁধা দেন। খসরু মিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিককে বিষয়টি অবহিত করলে চেয়ারম্যান নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় দোলা খানম অশ্লীল ভাষায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য খসরুকে গালিগালাজ শুরু করেন। ইউপি সদস্য খসরু তার প্রতিবাদ জানালে দোলা খানম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে ইউপি সদস্য খসরু মিয়ার মাথায় আঘাত করেন। এতে খসরু মিয়ার মাথা ফেটে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে কুলাউড়া হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর পড়ুন  বড়লেখা-জুড়ীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ব্যারিস্টার জহরত  চৌধুরী

দোলা খানম ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে আঘাত ও লাঞ্ছিত করেও ক্ষান্ত হয়নি গত ২২ এপ্রিল মেম্বারের স্ত্রী রাছনা বেগম এবং বড় ভাই আনোয়ারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মেম্বার পরদিন মৌলভীবাজার আদালতে জামিন আনতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুন্সী মুজাদ্দিদ জানান, খসরু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু পতিত আওয়ামীলীগের দোসর প্রবাসী রুবেজ আহমেদ রুবেলের স্ত্রী দোলা খানমের ভিত্তিহীন একটি অভিযোগকে আমলে নিয়ে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে দ্রুত আদালতে পাঠায়। এলাকাবাসী দ্রুত খসরু মিয়ার জামিন, মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেম্বারের বৃদ্ধ পিতা ইসমাইল আলী, কয়ছর মিয়া, ছয়ফুল মিয়া, কামাল মিয়া, খয়রু মিয়া, সারজান আহমদ, লিটন মিয়া, আবু তাহের, বেলায়েত হোসেন, ফয়েজ মিয়া, আজির আহমদ, জুবের আহমদ, কামরুল ইসলাম প্রমূখ।

এব্যাপারে জমির মালিক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বারী সাধন মুঠোফোনে জানান, যে মহিলা বাঁধা দিয়েছে তার বাঁধা দেয়ার এখতিয়ার নেই। আমি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারকে জনস্বার্থে আমার জমির মাটি নেয়ার অনুমতি দিয়েছি।

Facebook
Reddit
Pinterest
Twitter
LinkedIn
Telegram
Email
Print

ADS

adsadsads
ADVERTISEMENT

Related Posts