DSF NEWS
ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আনদোলন
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. উদ্ধার
  6. উদ্বোধন
  7. কুলাউড়া
  8. কৃষি
  9. খেলা ধুলা
  10. জাতীয়
  11. দুর্ঘটনার খবর
  12. নারী ও শিশু
  13. নির্বাচন
  14. প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
  15. বিনোদন প্রতিদিন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জনসংখ্যা বাড়াতে রাতে বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট বন্ধ

DSF NEWS
DSF NEWS
ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ ১১:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেক্সরিপোর্ট, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ঃ রাশিয়ায় জন্মহার ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিভিন্ন উদ্ভাবনী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের চাপের মধ্যেও তরুণ-তরুণীদের সন্তানধারণে উৎসাহিত করতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাব হলো রাতের নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা সীমিত করা, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত। এই পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেখানে একদিকে পারিবারিক সম্পর্ক উন্নয়নের যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে সমালোচকরা এটিকে অবাস্তব বলে মনে করছেন।

জন্মহার হ্রাসের পটভূমি

উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের মতো রাশিয়াতেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। ফেডারেল স্টেট স্ট্যাটিস্টিকস সার্ভিস (রোসস্ট্যাট) এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালে মাত্র ১২ লাখ ২২ হাজার শিশুর জন্ম নথিভুক্ত হয়েছে, যা ১৯৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন। এটি ২০১৪ সালের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং তরুণদের সন্তানধারণে অনীহা এই সংকটকে আরও গভীর করেছে।

রাতে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রস্তাব: যুক্তি ও উদ্দেশ্য

রাশিয়া সরকারের এই প্রস্তাবের মূল যুক্তি হলো, রাতে স্ক্রিনে ডুবে থাকার প্রবণতা কমলে মানুষ বেশি বিশ্রাম নেবেন এবং পরিবারকে বেশি সময় দেবেন। এতে পারিবারিক সম্পর্ক শক্তিশালী হবে এবং সন্তান জন্মদানে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সমর্থকদের মতে:
– স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তন করেছে।
– রাত জেগে স্ক্রিনে সময় কাটানো শুধু ঘুমের ক্ষতি করে না, বরং পারিবারিক যোগাযোগও হ্রাস করে, যা জন্মহার কমার সাথে সরাসরি জড়িত।
– এই সীমাবদ্ধতা জনসংখ্যাগত সংকট মোকাবিলায় একটি সৃজনশীল পদক্ষেপ।

লাইভ মিন্টের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ধারণা রাশিয়ায় জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ।

সমালোচনা ও বাস্তবতা যাচাই

যদিও প্রস্তাবটি আলোচিত, সমালোচকরা এটিকে অবাস্তব বলে মনে করছেন। তাদের যুক্তি:
– জন্মহার হ্রাসের পেছনে বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট নয়, বরং আবাসন সংকট, উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, চাকরির অনিশ্চয়তা এবং সন্তান লালন-পালনের খরচের মতো অর্থনৈতিক কারণগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করে।
– রাতে কাজ করা ব্যক্তি, অনলাইন ক্লাস নেওয়া শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার বা চিকিৎসকদের জন্য এই নিয়ম কীভাবে প্রযোজ্য হবে?
– রাষ্ট্রীয় নির্দেশে আবেগ বা রোমান্স তৈরি করা সম্ভব নয়; এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

অন্যান্য পরিকল্পনা: মিনিস্ট্রি অব সেক্স থেকে আর্থিক প্রণোদনা

জন্মহার বাড়াতে রাশিয়া সরকার আরও কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে:

  • মিনিস্ট্রি অব সেক্স: এই মন্ত্রণালয় চালুর প্রস্তাব, যা সন্তানধারণে উৎসাহিত করবে।
  • আর্থিক সহায়তা: একবার সন্তান নিলে ৫,০০০ রুবল পর্যন্ত ভাতা, বিয়ের পর প্রথম রাতে বিশেষ ছুটির জন্য আর্থিক সাহায্য।
  • পিতা-মাতার সুবিধা: মাতৃত্বকালীন সহায়তার পাশাপাশি বাবাদের বিশেষ ছুটি এবং সুবিধা।
  • চলমান কর্মসূচি: এককালীন প্রসবকালীন অর্থ, বর্ধিত মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা।
  • মাদার হিরোইন পুরস্কার: ১০টির বেশি সন্তানের জন্ম দেওয়া নারীদের জন্য সোভিয়েত যুগের এই পুরস্কার পুনরায় চালু।

এছাড়া, গত বছর প্রেসিডেন্ট পুতিন কর্মক্ষেত্রে মধ্যাহ্নভোজ বা কফি বিরতিতে সঙ্গমের পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

রাশিয়ার জন্মহার সংকট মোকাবিলায় পুতিনের এসব পরিকল্পনা উদ্ভাবনী হলেও, তাদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিশ্চিত না করে শুধুমাত্র নিয়মকানুন দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্ভব কি না, তা সময়ই বলবে। এই বিষয়ে আরও আপডেটের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।