এম রাসেল সরকার: ৬৮তম আন্তর্জাতিক লিও ডে উদযাপনকে কেন্দ্র করে নেপালের পোখরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ৫ দিনব্যাপী সম্মেলন “অল নেপাল লিও মিট ২০২৫”। দেশটির লিও মাল্টিপল কাউন্সিল ৩২৫ আয়োজিত এই ইভেন্টে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন লিও ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট লিও অরিত্র রহমান। তার সফরকে ঘিরে বাংলাদেশি লিওদের মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।
এবারের ইভেন্টে “Leadership Beyond Borders” এই মূল থিমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লিও আন্দোলনের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাই প্রধান উদ্দেশ্য। তাই নেপাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি আমন্ত্রণ জানিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় লিও আন্দোলনের বন্ধন আরও দৃঢ় করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলে রয়েছেন তিনজন তরুণ লিও নেতা—লিও অরিত্র রহমান (District President–315B1) লিও তাসফিয়া আহমেদ (District Zone Director & Club President, Leos of Dhaka Aristocrat) লিও ফারহান সাদিক (District Tamer–315B1)
তাদের এই সফর শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তরুণ নেতৃত্বের দক্ষতা উপস্থাপন, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও দুই দেশের লিওদের মাঝে নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বিশেষ করে লিও অরিত্র রহমানের নেতৃত্ব ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম নেপালের তরুণদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা ছড়াবে বলে organizers মনে করছেন। অন্যদিকে লিও তাসফিয়া আহমেদের অংশগ্রহণ নারী নেতৃত্ব বিকাশ বিষয়টিকে সম্মেলনে নতুন দৃষ্টিকোণ দেবে। লিও ফারহান সাদিক তরুণদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরবেন।
নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বড় শহর—সব জায়গা থেকে শত শত লিও এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য ও যুব নেতৃত্ব উন্নয়নের গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করে তুলবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে লিও অরিত্র রহমানের উপস্থিতি নেপাল–বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলে আয়োজকরা আশাবাদী।
বাংলাদেশ লিও ডিস্ট্রিক্ট এই সফরকে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখছে। কারণ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের তরুণরা নিজেদের নেতৃত্ব, দক্ষতা এবং মানবিক মূল্যবোধকে তুলে ধরছে—যা ভবিষ্যতের বড় সুযোগ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সবশেষে, এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের যৌথ মানবিক প্রকল্প, কমিউনিটি সার্ভিস, পরিবেশ রক্ষা কর্মসূচি ও যুব উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

