ডেস্ক রিপর্টঃ কাতার সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কড়া বার্তা দিয়েছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর দেশটি বলছে, যদি আমেরিকা তাদের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে এক্সনমোবিলের মতো মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করবে কাতার। এই হুমকি এসেছে গত সপ্তাহে ডোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলার পর।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের মর্যাদা নিয়ে কেউ খেললে চুপ থাকব না।” তিনি জানান, মার্কিন সরকার যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কাতারকে সমর্থন না দেয়, তাহলে গোল্ডেন পাস এলএনজি প্রকল্প থেকে শুরু করে সব ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। এই প্রকল্পে এক্সনমোবিলের সঙ্গে কাতার এনার্জির বিশাল অংশীদারিত্ব রয়েছে।
এই ঘোষণার পর থেকে বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাসের দামে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। কাতার বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শক্তি বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও সরাসরি সামরিক সহায়তার কথা এখনো বলেননি।
এদিকে, জাতিসংঘ হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। তবে কাতারের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন জটিলতা যোগ করেছে। স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি কেবল ব্যবসায়িক হুমকি নয়, বরং কাতারের কৌশলগত অবস্থান জানান দেওয়ার একটি পদক্ষেপ।