কুলাউড়া প্রতিনিধি।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে নকল পণ্য তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় পরিবেশক বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগকারী ব্যক্তি হলেন, মো. ইমাম উদ্দিন। কুলাউড়া পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকায় ইকরা এন্টারপ্রাইজ নামে তাঁর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্ট প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় পরিবেশক। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, শহরের আলালপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. ফেরদৌস ভুঁইয়া। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম, ফেরদৌস অ্যান্ড সন্স করপোরেশন।
দুপুর দুইটার দিকে কুলাউড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এসময় ইমাম উদ্দিন বলেন, ফেরদৌস ভূইয়া রতন ২০১৩ সালের ৩ মার্চ শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্টের পরিবেশক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের নুরজাহান ঘি ও বাটার পণ্যসমূহ বিক্রয় করতেন। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশক নিয়োগ পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ও কোম্পানীর অনুমতি ব্যতীত কোম্পানী ও পণ্যের নাম ব্যবহার করে নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করতে থাকেন। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ফেরদৌস ভূইয়া রতনকে সতর্কতামূলক নোটিশ দেয়। তখন তাঁর কাছে প্রতিষ্ঠানের নয় লক্ষ তিন হাজার সাতাশ টাকা পাওনা ছিল। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর মালিক পক্ষ তাঁর ডিলারশীপ বাতিল করে দেন। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর ইমাম উদ্দিনের ইকরা এন্টারপ্রাইজকে ডিলারশীপ প্রদান করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরদৌস গত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর নুরজাহান নাম ব্যবহার করে বিএসটিআইয়ের একটি ভূয়া লাইসেন্স তৈরি করে পণ্য বাজারজাত করতে থাকেন। এ বিষয়ে ইমাম উদ্দিন মৌলভীবাজারের ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে শাহ্ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্ট এর কোম্পানীর মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করলে তারা ইমাম উদ্দিনকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিলে ইমাম উদ্দিন মৌলভীবাজারের আদালতেও ফেরদৌস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কোম্পানীর মালিক পক্ষ বিবাদীর কাছে পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে বিবাদী মোঃ ফেরদৌস ভুঁইয়া বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানার কথা বলতে থাকে। একপর্যায়ে বিবাদী ফেরদৌস ভূঁইয়া রতন স্থানীয় বিভিন্ন নেতাকর্মী দ্বারা কোম্পানীর মালিক পক্ষকে হুমকি ধামকি প্রদান করে।
সংবাদ সম্মেলনে ইমাম উদ্দিন আরো বলেন, চলতি বছরের ৭ জুলাই তাঁর মালিকানাধীন ইকরা এন্টারপ্রাইজের সাথে কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যবসায়িক চুক্তিনামা সম্পাদন হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফেরদৌস ভুঁইয়া রতনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।