কুলাউড়া সংবাদদাতা:জামাল তারেক
কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়ন এর কুরবানপুর গ্রামের মিছবাহ উদ্দিন ও শেফালী বেগম দম্পতির পুত্র শিশু আয়ান আহমেদ।
বয়স মাত্র ৪ বছর জন্মের পর থেকে Cerebral Palsy নামক এক কঠিন রোগে আক্রান্ত সে,স্বাভাবিক শিশুরা যখন এই বয়সে হাটাচলা, কথা বলতে পারে কিন্তু শিশু আয়ানের অবস্থা তার বিপরীত,ওজন মাত্র ১২ কেজি।এখনও ঠিক মতো বসতে পারে না, দাড়াতে পারে না, তার শরীরের রগ গুলো বাকাঁ। ঠিকমত হাত পা গুলোও নড়াচড়া করতে পারে না।
দরকার তার উন্নত চিকিৎসা। বর্তমানে ডাক্তার তার চিকিৎসার জন্য জরুরী ভাবে অপারেশন করার জন্য বলেছেন, এখন যদি তার অপারেশন করা না হয় তাহলে আর হয়তো সুস্থ করা যাবে না আয়ান কে।অপারেশন করতে প্রয়োজন প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মতো।
পরিবার যে অসহায়, শিশু আয়ান এর ঠিকমতো ঔষধ খাওয়াতে হিমসিম খাচ্ছেন সেখানে অপারেশন করানো ত স্বপ্ন মাত্র।
শিশু আয়ান থাকেন প্রায় ৬ মাস থেকে মায়ের সাথে তার পিতার বাড়ি গোলাপগঞ্জে,আয়ান এর পিতা খুঁজ খবর নেন না তার এমনকি ঔষধ খরচও দেন না তিনি।এমনকি অসুস্থ ছেলের খুঁজ খবর নেন না তিনি।
আয়ানের মা শেফালী বেগম জানান উনার আরেকটি সন্তান রয়েছে মাত্র ৪০ দিন বয়সের। তিনি তার পিতার বাড়িতে বসবাস করছেন।তার পিতাও আর্থিক ভাবে অসচ্ছলতা দিনানিপাত করছেন, আয়ানের পিতা কোনো খুঁজ খবর নেন না তাদের এমনকি ছেলের অসুস্থতা তিনি সম্পুর্ন এড়িয়ে যান।
আয়ানের মা শেফালী বেগম সেখানকার আত্মীয় স্বজন সহ আশেপাশের বৃত্ত বান দের কাছে থেকে সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে এতদিন চালিয়ে আসছিলেন ছেলের ঔষধ, এখন তিনি একেবারে নিংস্ব হয়ে পড়েছেন। পারছেন না ছেলেকে ঠিকমতো ঔষধ খাওয়াতে, এদিকে ডাক্তার বলে দিয়েছে দ্রুত আয়ানের অপারেশন করা না হলে আর হয়তো বাচাঁনো যাবে না তাকে।
চোখের সামনে ছেলের এই অবস্থা কোনো মা কি সহ্য করতে পারবে, তার ছেলে ধুকে ধুকে মারা যাবে।
তিনি সবার কাছে হাতজোড়ে সহযোগিতা চেয়েছেন তার ছেলেকে বাঁচাতে।
আসুন আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিশু আয়ানের পাশে দাড়াই যতটুকু পারি আমরা একটি অবুঝ শিশুকে বাঁচাতে সহযোগিতা করি।
(আমরা চাইলে সব পারবও, কুলাউড়ার শিশু গোপালের পাশে যেমনি ভাবে দাড়িয়েছি,আসুন আমরা শিশু আয়ানের পাশেও দাড়াই