জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাতের বাবা জিল্লুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে বলে দাবি করছেন পরিবার। এবিষয়ে রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে জুড়ী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী রুহেলা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ জিল্লুর রহমানের মেয়ে হাবিবা আক্তার ও তাইবা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে রুহেলা বেগম বলেন, আমি জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা। আমার ছেলে জুড়ী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক অর্থ সম্পাদক ফাতিন হাসনাত দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসছেন। একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন রাত ৯ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমার ছেলে ফাতিন হাসনাতকে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। হামলা ও ভাঙচুরের পর বাড়িতে থাকা অর্থ অলংকার সহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর আমি জুড়ী থানায় অভিযোগ করলেও কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি পুলিশ। এঘটনার পর আমাদের পরিবার আরো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে এই ঘটনার দুইদিন পর থেকে আমার স্বামী জিল্লুর রহমান নিখোঁজ রয়েছে। আমার স্বামী জিল্লুর রহমানকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা ধারণা করছি আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানকে গুম করেছে। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই। এ বিষয়ে জুড়ী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলেও পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। আমরা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা। বর্তমানে আমরাও বাড়ি ছাড়া। আমার ছেলে ফাতিন হাসনাত দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যার কারনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা বিচার চাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, জিল্লুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে।