ডেস্ক রিপোর্টঃ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বগুড়া-৬ আসনের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা এবং সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপুকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপুকে বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করুন) রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রিপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো, তিনি সংসদ সদস্য থাকার সময় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আর্থিক লেনদেনে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
গ্রেফতারের সময় যা ঘটেছে:
রিপুকে গ্রেফতারের সময় তার বাসা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, এসব প্রমাণ তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অভিযোগ ও তদন্তের অগ্রগতি:
১. অবৈধ সম্পদ: সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
২. দুর্নীতি: সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার।
৩. অবৈধ কার্যক্রম: বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
র্যাবের বক্তব্য:
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা আইনের আওতায় থেকে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। আদালতে উপস্থাপনের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
রিপুর গ্রেফতার নিয়ে বগুড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিরোধী দলগুলো এই গ্রেফতারকে “নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ” বলে আখ্যা দিয়েছে।
রাগিবুল হাসান রিপুর গ্রেফতার বগুড়ার রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে জনগণও আগ্রহী। এ নিয়ে র্যাবের তদন্তের ফলাফল সামনে এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।