ডেস্ক রিপোর্টঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপে রাশিয়া আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।
রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মস্কো কাবুলের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি করছে এবং শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তালেবানের সঙ্গে কার্যকর সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে। ল্যাভরভের মতে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার ফলে কাবুলের বর্তমান পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
এদিকে, তালেবান সরকারের মুখপাত্র রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এবং আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
১. আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: তালেবান সরকার এখনও বেশিরভাগ দেশের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। রাশিয়ার স্বীকৃতি এই শূন্যতা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২. ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব: রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
৩. অর্থনৈতিক সহযোগিতা: রাশিয়ার স্বীকৃতি পেলে আফগানিস্তানের অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ চীনের মতো দেশগুলিকেও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে পারে। পাশাপাশি এটি পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে যারা এখনও তালেবানের বৈধতা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।
রাশিয়ার তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। এটি কেবল আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎই নয়, দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।
রাশিয়া আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন পরিবর্তন আনতে পারে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।