ADS

journal ads
আমাদের এই ক্যাটাগরিতে আর খোন খবর নেই দয়া করে আপনি কোন জেলা ও উপজেলা থেকে খবর পড়তেছে আমাদের যোগাযোগ ফর্মে লিখুন আমরা চেষ্টা করবো আপনার আশপাসের সকল খবর কভার করতে

বড়লেখায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

  হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা । উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষা সবার

Img-20241018-wa0018

 

হানিফ পারভেজ : প্রতিনিধি বড়লেখা ।

উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে, এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করার বহুমুখী উদ্যোগ নিলেও দেশের কোন উপজেলা এখনও শতভাগ ডিজিটালাইজড হয় নি। তবে উপজেলার শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়েব ও সফটওয়্যার ব্যাইজড হওয়ায় এবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা দেশের প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা নগরী হিসাবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা প্রধানদের সহযোগীতায় এবং দেশের অন্যতম সফট্ওয়্যার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি প্রা. লি. এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষকরা এ তথ্য জানান। সেমিনারে উপজেলার অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শতাধিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনাম উদ্দিন সভাপতিত্বে এবং পাকশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি লি. এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, কানাইঘাট সরকারি কলেজের প্রভাষক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও লেখক মো. ইয়াহইয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিচালক ডা: রত্নদ্বীপ দাস, শাহবাজপুর স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ আব্দুল বাছিত, গাংকুল পঞ্জগ্রাম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফজলুল হাসান মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ইটাউরি মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ খান, উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দাশের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস, রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক ইকবাল আহমদ, কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অধীর চন্দ্র বিশ্বাস, ফকির বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর জাহান চৌধুরী, মুড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান রশিদ আহমদ খান, কাঠালতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুফর রহমান, শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কাওছার আহমদ, কানসাই হাকালুকি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদা বেগম, দক্ষিন ভাগ এন সি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসুক আহমদ, কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস, গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ হায়দার, নারীশিক্ষা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক, ফকির বাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম আলী, পয়লোয়ানবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদ উদ্দিন, মাইজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন, কলাজুরা হাজি আপ্তাব আলীউচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল হক, বড়লেখা জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারেন্ট মোঃ নিজাম উদ্দিন ও হলিচাইল্ড স্কুলে অধ্যক্ষ শিমুল চৌধুরী প্রমুখ।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর পড়ুন  কুলাউড়ায় আগামী পৌর নির্বাচনের আগে ভোটার ও দলীয় সিদ্ধান্তে মেয়র পদে বাচ্চু-সজল                     

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইটাউরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনাম উদ্দিন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজেশন এখন সময়ের দাবী। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে আমরা সেখানে পিছিয়ে থাকতে পারি না। বড়লেখা উপজেলার শতভাগ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হওয়ায় তিনি উচ্ছাস্বিত হয়ে বলেন, আমাদের উপজেলাকে মডেল ধরে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজড হবে এবং গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে দেশ ধীরে ধীরে স্বনির্ভর ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে উল্লেখ করে জেলা আইসিটি এ্যাম্বাসেডর ও পাকশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নে ডিজিটালাইলেশনের বিকল্প নেই। কেননা এতে কাজের গতি বাড়ে ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা হয় সুশৃঙ্খল, নিভুল ও গতিময়। তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষক প্রযুক্তি উদ্যোক্তার হাত ধরে অত্যন্ত কম মূল্যে এবং নির্ভরশীল সেবা পাওয়ায় উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন বর্ণমালা সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

প্রসঙ্গত, এমএসথ্রি টেকনোলজি বিডি প্রা. লি. এর দেশের অন্যতম সফট্ওয়্যার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে সবধরনের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা দিয়ে আসছে ৮ বছর থেকে। বিশেষত কোম্পানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্যাইজড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বর্ণমালা এখন সিলেট ডিভিশনসহ সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়। বর্ণমালা ওয়েব ব্যাইজড সফট্ওয়্যার/ডায়নামিক ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন, যা শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনানুযায়ী তৈরি, প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজ, নিখুত ও ডিজিটালাইজড করে এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। বর্ণমালা অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম যেমন পরীক্ষা ও ফলাফল ব্যবস্থপনা, শিক্ষার্থীর ভর্তি, আর্থিক ব্যবস্থপনাসহ সকল ধরনের কাজ অত্যন্ত নিখুত ও নির্ভুলভাবে করা যায়। প্রায় চার শতাধিক প্রতিষ্ঠানের এখন বর্ণমালা সফটওয়্যার একটিভ রয়েছে। স্বল্প খরচে ও মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Facebook
Reddit
Pinterest
Twitter
LinkedIn
Telegram
Email
Print

ADS

adsadsads
ADVERTISEMENT

Related Posts