আমাদের এই ক্যাটাগরিতে আর খোন খবর নেই দয়া করে আপনি কোন জেলা ও উপজেলা থেকে খবর পড়তেছে আমাদের যোগাযোগ ফর্মে লিখুন আমরা চেষ্টা করবো আপনার আশপাসের সকল খবর কভার করতে
Home » কুলাউড়ায় কর্মচারী নিয়োগে প্রধান শিক্ষকের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
কুলাউড়ায় কর্মচারী নিয়োগে প্রধান শিক্ষকের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
জাকির আহমদ চৌধুরী : প্রতিনিধি কুলাউড়া। কুলাউড়া উপজেলার জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
জাকির আহমদ চৌধুরী : প্রতিনিধি কুলাউড়া।
কুলাউড়া উপজেলার জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী আয়া ও নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মুজাহিদুল ইসলাম দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় তার স্থায়ীভাবে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ ঘটনায় কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে।জানা যায়, ২০১২ সালের জুন মাসে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনুর ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে ছোট ভাই মুজাহিদুল ইসলাম জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নানা নাটকীয়তার মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করেন। সেসময় ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল লেইছ নামে একজন প্রধান শিক্ষক পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় নিয়োগ পরীক্ষার দিন সকালে সে যাতে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য দলীয় লোকজন দিয়ে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে অনত্র বন্দি রাখে। পরে নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হলে রাতেই থাকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে মুজাহিদের বিরুদ্ধে সেসময় অভিযোগ উঠেছিল। সাম্প্রতি ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জালালাবাদ স্কুলের ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনে শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান, স্কুলের নৈশপ্রহরীকে হত্যার হুমকি, নির্বাচন ছাড়াই তিনবার ম্যানেজিং কমিটির পকেট কমিটি গঠন ও প্রধান শিক্ষকের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় প্রকাশ্যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বড় ভাইয়ের জন্য ভোট চাওয়ার ঘটনাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি ১৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিন স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা প্রানেশ চন্দ্র ভর্মা জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি।