জেলা প্রতিনিধি: আমি মো: জয়নাল আবেদীন বাচ্চু,১৯৭৮ সালে ন্যাপ (মশিউর রহমান) এর ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি শুরু করি। ১৯৭৯ সালে ১লা জানুয়ারী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা হলে ছাত্রদলে আমি যোগদান দেই, কুলাউড়া উপজেলায় ছাত্রদলকে সংগঠিত করে ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে উপজেলা ছাত্রদলের কাউন্সিলে উপজেলা সভাপতি নির্বাচিত হই, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শহীদ (হাসনপুর) পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ছাত্রদলের দ্বিতীয় কাউন্সিলে পুনরায় তিন বৎসরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হই, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, ১৯৮৭ সাল থেকে যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে ৫/৬ বছর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি,১৯৯৩ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করি। ২০০১ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পৌর বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ২০১৯ সালে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলারদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আজ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। ১৯৯৯ সালে পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে কমিশনার নির্বাচিত হয়ে পরপর ৫ বার ৯নং ওয়ার্ডের ভোটাদের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তাদের সেবা করে আসছি। ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল এবং ২০১৮ সালে প্যানেল মেয়র হিসাবে পৌরবাসীর। আগামীতে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর সেবা করতে চাই। পরিবেশ পরিপস্থিতি অনুকুল বলতে বুঝাইতে চেয়েছি যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর আল্লাহর রহমতে বিএনপির ক্ষমতায় গিয়ে দলীয় সমর্থনের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে আর দল যদি আমার রাজনৈতিক ভাবে আমাকে সমর্থন করে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করবো। গত ০৫/০৮/২০২৪ইং তারিখে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পর উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের বাড়ীতে আমি নিজে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ৩ বারের নির্বাচিত সভাপতি মো: বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সুফিয়ান আহমদ, উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মন্নান সহ আমরা মৌখিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি মেয়র পদে নির্বাচন করবো আর বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। আমি বর্তমানে আমার ৯নং ওয়ার্ড ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যখন আমার পরিচিত লোকদের মতামত জানার জন্য যোগাযোগ করতেছি তখন, অনেকে বলতেছেন সজল ও নাকি যোগাযোগ করতেছেন। আমি তখন তাহাদেরকে বলতেছি যোগাযোগ করা প্রত্যেকের অধিকার আছে, সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্তের পয়জন আমি মনে করি। দলের মতের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে দল যদি আমাকে ওতবা (সজল কে) বা অন্য কাউকে প্রার্থী কে সমর্থন দেয় তাহলে আমি ও উপজেলা সভাপতি হিসাবে তার পক্ষে কাজ করব। স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক দুইজন একি পদে প্রার্থী হওয়ায় দুজনের কি পরিনতী হয়েছে তাহাতো সবার অজানা নয়। নির্বাচন হলে সজলের কাছে আমার অনুরোধ দুই জন প্রতিদন্দীতা করে দুইজন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়ে, আমি ও আপনি পৌর সভার নয়টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে আপনার মনোনীত ৫১ একান্ন জন ভোটারের তালিকা করুন (পুরুষ মহিলা) ৫১ ৯ = ৪৫৯ জন হবে। এ ৪৫৯ জন সম্মানিত লোকদেরকে নিয়ে আমরা দুইজন মিলে একটি সভার আয়োজন করব ঐ সভা থেকে অধিকাংশের মতামত যাহার পক্ষে আসবে তিনি প্রার্থী হবো। প্রয়োজনে ঐ ৪৫৯ জনের মধ্যে গোপন ভোটের ব্যবস্থা করে মতামত নেওয়া যেতে পারে। ৯নং ওয়ার্ড আমার নিজের ওয়ার্ড ঐ ওয়ার্ডের লোকজন আমাকে পরপর ০৫ বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে কাউন্সিলার নির্বাচিত করেছে। আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আগামী পৌর নির্বাচনের আগে আমি ৯নং ওয়ার্ডবাসী পুরুষ/মহিলা নিয়ে বসে তাদের মতামতের ভিত্তিতে আমি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। সম্মানিত পৌরবাসীর কাছে আমার আকুল আবেদন আমি আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসাবে প্রার্থী হলে আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন। আমার মার্কায় আপনাদের মুল্যবান ভোট দিলে চির কৃতজ্ঞ থাকিব। সজল স মনোনীত পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের ৪৫৯ জনকে আমি ও সজল মিলে দাওয়াত দিয়ে তাদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়। সজল সহ যে সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ আমার এই লেখাটি পড়বেন তাদের মতামত ফেইসবুকের মাধ্যমে জানালে কৃতজ্ঞ থাকিবো।
